how to save yourself from tiger:-
সুন্দরবন !নাম টা সুন্দর থাকলেও ,এর ভিতর টা ভয়ানক সুন্দর! বড়ো বড়ো হোগলা পাতা ছেয়ে থাকে এই বন টাকে। দিনের বেলা তে অন্ধকার হয়ে থাকে নিচের জামিন। মাটি মাটি গন্ধ ভরে থাকে বনের এই জায়গা। মৌমাছি রা বাসা বাঁধে এখানে ,গড়ান গাছ লম্বা লম্বা ছায়া ফেলে দাঁড়িয়ে আছে বছরের পর বছর। নদির পাশেই আছে এই বন্। নদী তে কুমির আর কামাঠ আছে। আর আছে বনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগার !তার ডাক বন্ কে কাঁপিয়ে দেয়। কি বুধধি ধরে যে ইনি ,না দেখলে বিশ্বাস হবে না। আপনি বন্ ঘুরছেন আপন মনে ,আর উনি ফলো করছেন আপনা কে নিঃশব্দে। পায়ের শব্দ পাবেন না ,তার পর ঝাঁপিয়ে পড়বে হঠাৎ!!!!!!!
sunderban:-
এই বনাঞ্চলে ঘিরে আছে অনেক গ্রাম .যেমন ধরুন বিজয় নগর গ্রামটি ,মাতলা নদীর তীরে,বিরাজমনি ঘাটের ধারে। এটা মৌলি মানে যারা মধু আনতে যায় বনে তাদের গ্রাম ,আমার মামার বাড়ি এখানে। দাদু,দিদা আর চার মাসি ও দুই মামা থাকে এখানে। কয়েক একর জমি আছে চাষের। বড়ো পুকুর আছে দুটো ,তাতে মাছ ভর্তি ,নারকেল গাছ কম ,খেজুর গাছ আছে অনেক। বাকি বাংলার ফল গাছ আছে অনেক। বাঁধ ধরে বাজার যেতে হয় ,স্কুল যেতে হয়। সিনেমা হল টা খুব মজার। বাঁশের খুঁটির উপর কাঠের তক্তা সেট করা হলো বসার জায়গা। পিকচার চলতে চলতে হঠাৎ স্লাইড পড়তো--` পা তুলে বসুন ,নদীর জল ঢুকছে`। স্কুল আছে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত। এখানকার সব বাড়ির পিছন দিকে গরুর গোয়াল থাকে। নদী পার হয়ে বাঘ চলে এলে ,প্রথম এটাক হবে গরুর গোয়ালে ,মানুষ বেঁচে যাবে। মামার বাড়ি গেলে ঘুম আস্ত না রাতে বাঘের ভয়ে। গরুর পা নাড়ার শব্দ,মনে হতো বাঘের শব্দ।অথচ সকাল বেলা সুন্দর পাখির ডাক,নদির ছলাত,ছলাৎ শব্দ সব ভয় ভুলিয়ে দিতো। কিন্তু রাত হলেই .......
এখানে ছিল আবেশ ,দাদুর জন মজুরের ছেলে। আমার বয়েসী প্রায়। ওকে সবাই ডাকতো "আবে" বলে।গলা আর কাঁধের মাঝে ছিল মস্ত আব বা টিউমার একটা। এখন ওর নাম আবেশ থেকে নাকি আব টা থেকে ,ওকে আবে বলে ডাকে লোকে ,কে জানে?ও আমাকে নৌকা চালানো ,গাছে ওঠা ,মাছ ধরা নদী তে,শিখিয়ে ছিল। নদী তে নৌকা চালিয়েছি আবের সাথে। ভয়ানক সাহসী আর উপস্থিত বুধধি রাখতো ও। মাঝের ১৭ টা বছর দিল্লী তে থাকার জন্য - সময়ের সাথে সাথে সুন্দর বোনের স্মৃতি ফিকে হয়ে গেছে। .........
আবার যখন এলুম বাংলাতে ফেরত ,মিঃ বোসের কাছে চাকরি করছি,ওনার দুটো প্রজেক্টের অপারেশনাল ম্যানেজার ছিলুম। একদিন বললেন --"তাপস আমার সুন্দরবনের রিসোর্ট একটু দেখে নিন ,ভাবছি ওটাও আপনার হাতে দেব...সুন্দরবন !মামার বাড়ির দেশ আমার ,রাজি হয়ে গেলাম ,পৌঁছে গেলুম এক দিন সুন্দরবন রিসোর্ট এ। নদির উপর দুটো বারো বোট জুড়ে হয়েছে রিসেপশন। জমির উপর করা কনস্ট্রাকশন হয়েছে রুম এর জন্য। নিজস্ব বোট আছে বন ভ্রমণের জন্য। সরকার অনুমোদিত শিকারি আছে ,আধুনিক ব্যবস্থা আছে বেড রুম ও ডাইনিং রুমের জন্য ,কর্পোরেট বিসনেস হয় ব্যাপক ,প্যাকেজ টুর এভেইল্ল্যাবল।
আবে :-
প্রথম দিন এ গেলুম বিরাজ নগর গ্রামে ,যদি ছেলে বেলার তাপস এর দেখা পাই ভেবে ,কিন্তু গিয়ে পেলুম --------
বাঁধ থেকে নামতেই দেখা এক চল্লিশ বছরের মানুষের সঙ্গে, যে হাতে লাঙ্গলের ফল তা নিয়ে বসে আছে ,এক মাথা চুল তার ,চোখ ঘোলা আর লাল হয়ে আছে ,মুখ থেকে লালা ঝরে চলেছে ,যেন এক্ষুনি লাঙলের ফলটা বুকে বসিয়ে দেবে কারো। আমার সাথে ছিলেন যিনি তিনি বললেন ,স্যার ভয়ের কিছু নেই ,আজ বছর দুই ও এমনি ভাবেই থাকে বেশি সময়। কারণ কি জিজ্ঞাসা করলাম ,বললেন --দু বছর আগে ও বনে গিয়েছিলো কাঠ আর মধু আনতে ,সবাই যখন বনে কাঠ আর মধু আনতে যেত ও থাকতো তাদের সঙ্গে। সন্ধ্যে হওয়ার সাথে সাথে সবাই নৌকায় ফিরাত আসতো ,তারপর খাওয়া দাওয়া করে নৌকায় শুয়ে পড়তো ,নৌকায় থাকতো দারোমা দেওয়া ,ওর মধ্যেই চারজন পাঁচজন থাকতো এক সাথে। প্রচন্ড গরমেও দর্মা র বাইরে আস্ত না ,সেদিন ওই লোকটি গরমের জ্বালায় ,মুখ তা বার করে ছিল দরমার বাইরে ,বাঘ এসে ছিল জাল সাঁতরে এবং থাবা মারে ওর মুন্ডতে ,কেন জানি মুন্ডু তা ঘুরিয়ে ছিল লোকটি ,ব্যাস কাঁধে পরে থাবা ,এবার চলে বাঘ আর মানুষের টানাটানি। এক দিকে বাঘ ঝুলছে নৌকা থেকে,থাবায় মানুষের কাঁধ ধরা,অন্য দিকে মানুষ টি আর ভিতরের তিন জন টানছে লোকটিকে,সঙ্গে চলছে চিৎকার ,শেষ মেশ বাঘ চাচা মেচিতে কাঁধের অনেক তা মাংস চিরে নিয়ে চলে গেল ,কপাল গুনে ফরেস্ট এর লোকেরা ওদের আওয়াজ শুনে চলে আসে লঞ্চ নিয়ে ,তারপর রক্তাক্ত লোকটিকে নিয়ে যায় হসপিটালে ,লোকটি বেঁচে যায় কারণ বাঘ ছিঁড়ে নিয়ে গেছে লোকটির কাঁধে থাকা বড় একটি টিউমার কে ,যা তার জন্মগত আব ছিলো। বাঘে থাবা মারার শক তাকে এমনি এবনরমাল করে দিয়েছে ,সে আমার সেই পুরোনো দিনের খেলার সাথী "আবে".........
এখানে ছিল আবেশ ,দাদুর জন মজুরের ছেলে। আমার বয়েসী প্রায়। ওকে সবাই ডাকতো "আবে" বলে।গলা আর কাঁধের মাঝে ছিল মস্ত আব বা টিউমার একটা। এখন ওর নাম আবেশ থেকে নাকি আব টা থেকে ,ওকে আবে বলে ডাকে লোকে ,কে জানে?ও আমাকে নৌকা চালানো ,গাছে ওঠা ,মাছ ধরা নদী তে,শিখিয়ে ছিল। নদী তে নৌকা চালিয়েছি আবের সাথে। ভয়ানক সাহসী আর উপস্থিত বুধধি রাখতো ও। মাঝের ১৭ টা বছর দিল্লী তে থাকার জন্য - সময়ের সাথে সাথে সুন্দর বোনের স্মৃতি ফিকে হয়ে গেছে। .........
আবার যখন এলুম বাংলাতে ফেরত ,মিঃ বোসের কাছে চাকরি করছি,ওনার দুটো প্রজেক্টের অপারেশনাল ম্যানেজার ছিলুম। একদিন বললেন --"তাপস আমার সুন্দরবনের রিসোর্ট একটু দেখে নিন ,ভাবছি ওটাও আপনার হাতে দেব...সুন্দরবন !মামার বাড়ির দেশ আমার ,রাজি হয়ে গেলাম ,পৌঁছে গেলুম এক দিন সুন্দরবন রিসোর্ট এ। নদির উপর দুটো বারো বোট জুড়ে হয়েছে রিসেপশন। জমির উপর করা কনস্ট্রাকশন হয়েছে রুম এর জন্য। নিজস্ব বোট আছে বন ভ্রমণের জন্য। সরকার অনুমোদিত শিকারি আছে ,আধুনিক ব্যবস্থা আছে বেড রুম ও ডাইনিং রুমের জন্য ,কর্পোরেট বিসনেস হয় ব্যাপক ,প্যাকেজ টুর এভেইল্ল্যাবল।
আবে :-
প্রথম দিন এ গেলুম বিরাজ নগর গ্রামে ,যদি ছেলে বেলার তাপস এর দেখা পাই ভেবে ,কিন্তু গিয়ে পেলুম --------
বাঁধ থেকে নামতেই দেখা এক চল্লিশ বছরের মানুষের সঙ্গে, যে হাতে লাঙ্গলের ফল তা নিয়ে বসে আছে ,এক মাথা চুল তার ,চোখ ঘোলা আর লাল হয়ে আছে ,মুখ থেকে লালা ঝরে চলেছে ,যেন এক্ষুনি লাঙলের ফলটা বুকে বসিয়ে দেবে কারো। আমার সাথে ছিলেন যিনি তিনি বললেন ,স্যার ভয়ের কিছু নেই ,আজ বছর দুই ও এমনি ভাবেই থাকে বেশি সময়। কারণ কি জিজ্ঞাসা করলাম ,বললেন --দু বছর আগে ও বনে গিয়েছিলো কাঠ আর মধু আনতে ,সবাই যখন বনে কাঠ আর মধু আনতে যেত ও থাকতো তাদের সঙ্গে। সন্ধ্যে হওয়ার সাথে সাথে সবাই নৌকায় ফিরাত আসতো ,তারপর খাওয়া দাওয়া করে নৌকায় শুয়ে পড়তো ,নৌকায় থাকতো দারোমা দেওয়া ,ওর মধ্যেই চারজন পাঁচজন থাকতো এক সাথে। প্রচন্ড গরমেও দর্মা র বাইরে আস্ত না ,সেদিন ওই লোকটি গরমের জ্বালায় ,মুখ তা বার করে ছিল দরমার বাইরে ,বাঘ এসে ছিল জাল সাঁতরে এবং থাবা মারে ওর মুন্ডতে ,কেন জানি মুন্ডু তা ঘুরিয়ে ছিল লোকটি ,ব্যাস কাঁধে পরে থাবা ,এবার চলে বাঘ আর মানুষের টানাটানি। এক দিকে বাঘ ঝুলছে নৌকা থেকে,থাবায় মানুষের কাঁধ ধরা,অন্য দিকে মানুষ টি আর ভিতরের তিন জন টানছে লোকটিকে,সঙ্গে চলছে চিৎকার ,শেষ মেশ বাঘ চাচা মেচিতে কাঁধের অনেক তা মাংস চিরে নিয়ে চলে গেল ,কপাল গুনে ফরেস্ট এর লোকেরা ওদের আওয়াজ শুনে চলে আসে লঞ্চ নিয়ে ,তারপর রক্তাক্ত লোকটিকে নিয়ে যায় হসপিটালে ,লোকটি বেঁচে যায় কারণ বাঘ ছিঁড়ে নিয়ে গেছে লোকটির কাঁধে থাকা বড় একটি টিউমার কে ,যা তার জন্মগত আব ছিলো। বাঘে থাবা মারার শক তাকে এমনি এবনরমাল করে দিয়েছে ,সে আমার সেই পুরোনো দিনের খেলার সাথী "আবে".........
No comments:
Post a Comment